জেনে নিন, যে পাঁচ কারণে গরমকালে মিলনের চাহিদা দ্বিগুণ হয়

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গ্রীষ্মকাল মানেই প্যাচপ্যাচে গরম। ঘামে জবজবে শরীর। ক্লান্ত মন। কিন্তু তা সত্ত্বেও অন্ধকার নামলেই কি স্বস্তির পাশাপাশি বাড়ছে আপনার যৌন চাহিদাও। উত্তেজনার বশে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণের মাত্রাও উর্ধ্বগামী? রাত সুমধুর করার ইচ্ছেটা প্রয়োজনের তুলনায় বেশিই মাথাচাড়া দিচ্ছে? চিন্তার কিছু নেই। কারণ আপনি একা নন, সমীক্ষা বলছে গ্রীষ্মে এমনটা অনেকেরই হয়ে থাকে। কিন্তু কেন? বিছানায় যাওয়ার সময় শরীরে সুতো রাখতে ইচ্ছা করে না বলে? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

দিনের বেলা বাড়ির বাইরে পা দেওয়া মানেই গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে রোদে পুড়তেই হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালে এই রোদের বেরনোর কারণে শরীরে সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ে। যে হরমোন আসলে মন ভাল করে। আর সেই কারণেই যত রোদে ঘুরবেন, মিলনের ইচ্ছা ততই বৃদ্ধি পাবে।

এই অভিজ্ঞতা বিছানায় সব কাপলেরই নিশ্চিতভাবে হয়েছে। গরমকালে রাতে পোশাক পরে ঘুমাতে যাওয়াই দায়। যত খোলামেলা থাকা যায়, ততই আরাম। আর নরম বিছানায় পার্টনারের উন্মুক্ত শরীরের স্পর্শ যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়, তা বলাই বাহুল্য। সুতরাং বাকি রাতটা বন্য আনন্দে মেতে ওঠা অস্বাভাবিক নয়।

গ্রীষ্মে যৌন চাহিদা বাড়ার আরও একটি কারণ দিনের দৈর্ঘ্য। গরমে দিন যেমন শেষই হতে চায় না। আর দিনের বেলা কোনও কাজ করতেও ইচ্ছা করে না। শরীর চর্চা থেকে ভাল-মন্দ খাওয়া-দাওয়া, সবই হয় সন্ধে নামলে। শরীরে এনার্জিও ফেরে। তাছাড়া কাছের মানুষটির সঙ্গে কথাবার্তাও হয় রাতের অন্ধকারেই। তাই মিলনের জন্য স্বাভাবিকভাবে সেই সময়টাকেই বেছে নিতে পছন্দ করেন প্রত্যেকে।

প্যাচপ্যাচে গরমের একঘেয়ে রুটিন থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেন। আর দূরে কোথাও পাড়ি দেওয়া মানেই তো ছুটির মেজাজ। আর সেই সফরে একটু শরীর গরম না হলে কি চলে?

গ্রীষ্মকালে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হয়। দীর্ঘক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকলেও চোখের পাতায় ঘুম নামে না। এর কারণ মেলাটনিন হরমোনের ক্ষরণ হ্রাস। এই হরমোনের ক্ষরণেই বেশি ঘুম পায়। কিন্তু রোদের মধ্যে অনেকটা সময় কাটালে শরীরে এই হরমোন উৎপন্ন হতে পারে না। ফলে ঘুম পায় কম। আর রাত জাগা দুটি মানুষের একে-অপরের কাছে আসতে চাওয়াটাই তো স্বাভাবিক। তাই দীর্ঘ হয় যৌন জীবনও।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর